বাঘ নাকি সিংহ এই লড়াই চিরন্তন। পশুরাজ হয়েও সে কেন জাতীয় পশু হলো না সেই নিয়ে কৌতুহল কম নয়। যে কোন দেশের জাতীয় পশু হলো সেই দেশের প্রাকৃতিক প্রাচুর্যের প্রতীক। যেমন ভারতের জাতীয় পশু হিসেবে বাঘকে ধরা হয়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন সিংহ তো বাঘের মতোই শক্তিশালী তাহলে অন্যান্য পশুকে বাঘকেই জাতীয় পশু হিসেবে চিহ্নিত করা হলো?
আরও খবর – প্রশান্ত মহাসাগরে তীব্র ভূমিকম্প, ভয়াবহ সুনামির সতর্কতা জারি একাধিক দেশে জানা যায় ১৯৭৩ সালে টাইগার প্রজেক্ট শুরু হওয়ার পর ভারত সরকার রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করে। আর বাঘকে জাতীয় পশু হিসেবে নির্বাচন করার কারণ হিসাবে ছিল ছিল বাঘের বৈশিষ্ট্য যেমন তৎপরতার শক্তি ও দৃঢ়তা।
বাঘের আগে কিন্তু সিংহই ছিল ভারতের জাতীয় পশু । 1969 সালে বন্যপ্রাণী বোর্ড সিংহকে জাতীয় পশু নির্বাচন করে যা 1973 এ বদল হয়। আরও খবর – ভারতীয়দের সামনে আরও বিপদ, ভিসার নিয়মে বিরাট পরিবর্তনের পথে আমেরিকা!
বাঘের বিষয়ে জেনে নিন কিছু অজানা তথ্য- বিড়াল প্রজাতির বৃহত্তম প্রাণী হলো বাঘ। বিশ্বে এদের মোট নটি প্রজাতি রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনটি বিলুপ্ত। গোটা বিশ্বের মোট বাঘের মধ্যে ৭০ শতাংশ ভাগ ভারতে রয়েছে।
আরও খবর – যুদ্ধের পূর্বাভাস! চীনকে তাক করে রাশিয়ার বিধ্বংসী মিসাইল বসাল ভারত মানুষের আঙ্গুলের মতই বাঘের ডোরা গুলিও ইউনিক। অর্থাৎ একটি বাঘের ডোরার সাথে অন্য বাঘের ডোরা মিল খায় না।
ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ মালয়েশিয়া দক্ষিণ কোরিয়াতে জাতীয় পশু হলো বাঘ। ক্ষিপ্ততা, স্ট্যামিনা, এবং অতুলনীয় শক্তির মিশ্রণের কারণে বাঘকে ভারতের জাতীয় পশুর স্থান দেওয়া হয়েছে। শক্তি, লালিত্য, সতর্কতা বুদ্ধিমত্তা এবং ধৈর্যের প্রতীক বাঘ।