Breaking News

ছোট ছোট দুই জমজ ভাই একসাথে লুকোচুরি খেলছে। সেই ভিডিওটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। বাচ্চাদের এমন হাস্যরসাত্মক ভিডিওগুলো ব্যাপক ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদন:আগেকার সময়ে শিশুদের শৈশবের শুরুটা গড়ে উঠত এলাকার ও আশেপাশের পাড়ার সঙ্গীদের সাথে।বিকেল হলেই যেন এলাকা মেতে উঠত হৈ-হুল্লোড়ে। কিন্তু বর্তমানে সময়ে হারিয়ে গেছে সেই আনন্দময় শৈশব, সাথে হারিয়ে গেছে খেলাধুলাও। প্রযুক্তি নির্ভর যুগে এসেছে ডিজিটাল খেলাধুলা। তবে তা আর আগের মত শারীরিক সুস্থতার জন্য কার্যকরী নয়।

বাসায় বসে মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটারে গেমস খেলায় কোনো শারীরিক উন্নতি হয়না, বরং মানসিকসহ শরীরের নানান নেতিবাচক সমস্যা দেখা দেয়। পড়ালেখা কিংবা কাজের চাপে খেলার সুযোগ পায়না এখনকার শিশুরা। যতটুকু অবসর সময় পাওয়া হয়, তা সবাই আলস্যে মোবাইল ব্যবহারের মধ্যে কাটাতে পছন্দ করে। খুব কম সংখ্যকই খেলাধুলার পাশাপাশি বই পড়তে বা সৃজনশীল কাজ করতে পছন্দ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের খেলাধুলা করা বাধ্যতামূলক।খেলাধুলার ভেতরে যে আনন্দ থাকে তা শিশুমনের পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়ক। খেলার জন্য বড় মাঠের প্রয়োজন নেই। বাসার সামনে অল্প জায়গা হলেও খেলা যায় বা কিছু শারীরিক কার্যক্রম যেমন- হাঁটাহাঁটি, দৌড়াদৌড়ি, দড়িলাফ দেওয়া যায়। এসকল শরীরের ক্লান্তি, একঘেয়েমি, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ দূরে সরিয়ে মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।শিশুরা সাধারণ জিনিস দিয়েই খেলতে ভালোবাসে,

তাদের জন্য সবসময় বিশেষ কোনো খেলনারও প্রয়োজন হয়না৷ যা বড়দের পক্ষে বোঝা অনেক সময় বেশ কঠিন হয়ে যায়৷ বাচ্চারা যখন সোফা বা বিছানার ওপর লাফালাফি করে কিংবা চেয়ার টেবিল দিয়ে খেলে, তা কি কোনো মা-বাবার কাছে ভালো লাগে? তাদের চিন্তা থাকে সখের ফার্নিচারগুলো নষ্ট হয়ে যাবেনা তো?ওসনাব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষাবিদ রেনাটে সিমার বলেন,

‘‘শিশুদের খেলার জন্য আমি সবসময়ই আরো অনেক বেশি জায়গা চাই৷ হ্যাঁ, শিশুকে এমনটা করতে দিন, কারণ শিশুরা এভাবেই খেলার মধ্য দিয়ে তাদের জীবনের ছোট ছোট চাহিদাগুলো মেটানোর প্রস্তুতি নেয়৷’’ শিশু তার আশেপাশের পরিবেশ থেকে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়েই প্রকৃতির নানা নিয়ম কানুন শেখে৷ একটি বল যেমন পানিতে ভাসে আর পাথর পানিতে ডুবে যায় ঠিক তেমনি নিজে পরীক্ষা করেই তারা এসব শিখতে পারে৷

খেলাধুলা শিশুর চিন্তাভাবনার ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তোলে৷ নিজের মতো করে খেলতে দিলেই কেবল শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে পারে সঠিকভাবে৷ আর তাই শিশুদের খেলার জন্য ঘরে এবং বাইরে সুযোগ দিতে হবে সন্তানের মা-বাবাকেই, বিশেষ করে শহরগুলোতে৷অনেক মা-বাবা সন্তানকে বাইরে খেলতে দিতে ভয় পায়,

যা হয়তো অনেকক্ষেত্রে স্বাভাবিক৷ এমন পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে শিশুকে সাহস করে ছেড়ে দেওয়া উচিত৷ কারণ বাইরে নানা ধরনের খেলার মধ্য দিয়ে শুধু পরিবেশ আর কৌশল নয় শিশুরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে৷ জানান রেনাটে সিমার যিনি খেলাধুলা বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞও৷ তাছাড়া অন্যদের সাথে বা দলে খেলতে গিয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখে এবং সহনশীল হয়৷

তাছাড়া যেসব শিশু বাইরে খেলাধুলা করে তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকে যা লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে সহায়তা করে৷‘‘খেলাধুলা শিশুদের জন্য শুধু কোনোকিছু শেখা, জানা বা পাওয়া নয়৷ শিশুরা কখনো ফিট থাকার জন্যও মাঠে খেলা করে না, তারা মন থেকে স্বেচ্ছায় খেলে,’’ একথা বলেন মনোবিদ থিও টপে৷তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা বড়রা এই মুহূর্তে কি ঘটছে তা না ভেবে বেশিরভাগ সময় নিজেদের অন্য চিন্তায় মগ্ন রাখি৷

যে কারণে শিশুদের খেলাধুলার বিষয়টি বড়দের পক্ষে বোঝা বেশি কঠিন হয়৷’’পড়ালেখার পাশাপাশি অভিভাবকসহ সকলের উচিৎ বিকেলে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আশেপাশে ঘুরতে, খেলতে বা হালকা কিছু শারীরিক ব্যায়াম-হাঁটাহাঁটি, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করতে বেরিয়ে পরা। এতে স্বাস্থ্য ও মন উভয়ই প্রফুল্ল থাকবে।

Check Also

এক মাছের পেট থেকে আট কেজি ডিম বের হলো, ভিডিও তুমুল ভাইরাল

মাছের ডিম দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন রন্ধনশৈলীতে নানা ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। সমুদ্রজাত মাছের ডিম। …