Breaking News

জি বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় হিন্দি গানের সাথে নেচে মাতালেন সুন্দরী মিঠাই ও তার নায়ক! মুহূর্তেই তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:নাটুয়া নাচ বা নাটা নাচ বা লাটা নাচ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় প্রচলিত এক লোকনৃত্য বিশেষ। সাধারণতঃ বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত এই নাচের আসর বসে।নাটুয়া নাচ পৌরুষ দৃপ্ত নৃত্য বিশেষ। এই নাচের মূল লক্ষ্য দৈহিক শক্তির প্রদর্শন। সুদৃঢ় বলিষ্ঠ পদসঞ্চার ও অঙ্গবিক্ষেপের মাধ্যমে ঢাল ও তলোয়ার দিয়ে আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক ভঙ্গীতে খেলা প্রদর্শন এই নাচের বৈশিষ্ট্য।

এই নাচে দেহ সুগঠিত ও বলিষ্ঠ হওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।পুরুলিয়া জেলায় সাধারণতঃ হাড়ি, বাউড়ী, ডোম ও মাহাতো সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই নৃত্যের শিল্পী হয়ে থাকেন। নর্তকদের উর্ধাঙ্গে কোন আবরণ থাকে না, তারা শুধু মালকোচা মেরে খাটো ধুতি পরে সারা শরীরে সাদা রঙ দিয়ে বিভিন্ন রকম চিত্র অঙ্কন করে নেন। মাথায় ফেট্টি বেঁধে তাতে পাখির পালক গোঁজা হয়। হাতের মণিবন্ধে ও বাহুতে রঙিন ফিতা বেঁধে রাখা হয়।বন্দনাগান দিয়ে নাচ শুরু হয়।

নাচের এক একটি সারিতে চারজন করে নর্তক থাকেন। নাচের অংশ হিসেবে নৃত্যশিল্পী মাটিতে শুয়ে পড়লে তার ওপর দাঁড়িয়ে অন্য শিল্পীরা নৃত্য প্রদর্শন করেন। কখনো কখনো নৃত্যশিল্পীর পেটে ঢেঁকি দিয়ে আঘাত করা, জ্বলন্ত আগুনের গোলা বিভিন্ন অঙ্গে স্পর্শ করা বা জ্বলন্ত কয়লা মুখে ঢুকিয়ে নেওয়ার মতো রোমাঞ্চকর খেলা এই শিল্পীরা দেখিয়ে থাকেন। এই নাচে হাল, জোয়াল, মই, গরুর গাড়ীর চাকা প্রভৃতি কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এই নাচে ছয়ালি, চৈতালী, ধুমসী, হলুদখেড়ি প্রভৃতি তালের ব্যবহার হয়ে থাকে।সকল ভারতীয় নৃত্য জন্ম নিয়েছে নাট্যশাস্ত্র থেকে। যারফলে প্রত্যেকেরই একরকম সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেমন হাতের ভঙ্গিতে (মৃুদ্রা), আঙ্গিক অবস্থানে, পদ সঞ্চালনে এবং নাটকীয় মুখভঙ্গিতে যাকে অভিনয় বলা হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সহযোগে নৃত্যগুলি পরিবেশিত হয়, প্রায় সকল নৃত্যশৈলীর শিল্পীরা পায়ের গোড়ালীর চারপাশে ঘন্টা বাধেন,

এই ঘন্টাগুলোর সংঘর্ষে যে শব্দ হয় তার মাধ্যমে সঙ্গীতের বিপরীতে নৃত্য শিল্পী উত্তর দেন।আজকাল ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের অনেকগুলো আঞ্চলিক ধরন দেখা যায়। “ অদরা মাগাধী” নৃত্যটি দীর্ঘদিনের বিতর্কের পর বর্তমান সময়ের ওড়িশ্যা,মিথিলার আঞ্চলিক নৃত্য ওডিসি(ওড়িশি)র সাথে সম্পর্কিত বলা হচ্ছে। এই ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়ার ফলাফল, যা নৃত্যের প্রভাবে হয়েছে।ভাংরা নাচের এলাকা হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত পাঞ্জাব।

এটি একই সাথে নৃত্য ও সঙ্গীতের ধরন বলে পরিচিত। এটা প্রাচীন ফসল উৎপাদনের উৎসবের সাথে সম্পর্কিত। ভাংরায় এর সাথে আরও দেখা যায় প্রেম, দেশপ্রেম অথবা সামাজিক ঘটনার উপস্থিতি। ঢোল নামের একটি বাদ্যযন্ত্র ভাংরায় ব্যবহুত হয়।শ্রীলংকার নৃত্যের মধ্যে রয়েছে শয়তান নৃত্য। এই নাচের শিকড় অনেককাল আগের শ্রীলংকান প্রাক বৌদ্ধ সময়কালে।

সতর্কতার সাথে এই নৃত্যে ধর্মীয় রীতির পালন করা হয়।ইন্দোনেশিয়ার নৃত্য ইন্দোনেশিয়ার সমৃদ্ধ নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও বৈচিত্রময়তা তুলে ধরে। ইন্দোনেশিয়ায় ১৩০০ এরও বেশি নৃগোষ্ঠী আছে। এ্যাষ্ট্রোনেশিয়ান ও মেলানিসিয়ান জনগোষ্ঠী হতে এই সংস্কৃতি জন্ম নিয়েছে।

https://www.youtube.com/shorts/qATF64T7I_8এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখুন

Check Also

বাড়িতে পড়ে থাকা বোতল দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন ব্রাশদানি। এ পদ্ধতিতে সহজেই বানিয়ে ফেলুন। রইল ভিডিওসহ A-Z স্টেপ বাই স্টেপ

নিজস্ব প্রতিবেদন:পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা তো রয়েছেই, সঙ্গে ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় বর্তমানে প্লাস্টিকের টুথব্রাশের …