পাতাঝড়ার মরশুমে নাকাল রাজ্যবাসী যখন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শীতের আমেজ উপভোগ না করতে পারায় জেরবার ঠিক সেইসময় অশনি সংকেত দিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস! ভারতীয় উপকূলীয় এলাকাতে এগিয়ে আসছে আমফানের থেকেও বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়।
হ্যা, ঠিকই শুনছেন “ক্লাইমেট ডায়নামিকস স্প্রিংগার” জার্নালে ইতিমধ্যে আইআইটি খড়গপুর এর বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিলেও সম্প্রতি ভূতত্ত্ববিদ সজীব করের গবেষণা থেকে পাওয়া গেল ঝড়ের গতিবেগ সম্পর্কিত ভয়ঙ্কর তথ্যসমূহ!
আমফানের এর তুলনায় ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়-
বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশ থেকে বাংলার দিকে চাপজনিত কারণে ধেয়ে আসা এই ঘূর্ণিঝড়গুলির গতিবেগ ও স্থায়িত্ত্ব কুখ্যাত আমফানের(12 ঘন্টা) তুলনায় বেশি হবে(14 ঘন্টা) সাথে রয়েছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণির আশঙ্কা।
সাইক্লোন এর প্রভাব তাপমাত্রার উপর ঠিক কতটা প্রভাব পড়বে-
চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া সাইক্লোনগুলির দরুন তাপমাত্রা বাড়বে অস্বাভাবিকভাবে। এমনকি বঙ্গের পশ্চিমপ্রান্তের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ 45 থেকে 46 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। ফলতঃ উচ্চচাপজনিত বিভিন্ন রোগের আসন্ন প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে শঙ্কিত রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘূর্ণিঝড় গুলির বারংবার ফিরে আসার কারনটি ঠিক কি-
বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বঙ্গোপসাগরের জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে 4 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকায় প্রতি মুহূর্তেই বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত পরিমাণে জলীয় বাষ্প তৈরি হচ্ছে যা বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের তারতম্য সৃষ্টি হওয়ায় বারংবার রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ধেয়ে আসছে এই আচমকা ঘূর্ণিঝড়গুলি!