সুখী হতে টাকা লাগে, কথাটা একদমই যে ভুল তা কিন্তু নয়। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জীবনযাপনের স্বপ্ন কম-বেশি সবাই দেখেন। কারণ জীবনে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অর্থ প্রায় অপরিহার্য একটি উপাদান বলেই বিবেচিত। তবে সবার ক্ষেত্রে অর্থ উপার্জন করে ধনী হওয়া সহজ হয় না।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড বিজনেস অ্যান্ড ইকনমিক রিসার্চ চি’হ্নিত করছে এমন ৫টি লক্ষণ, যেগুলো ভবিষ্যতে আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতার পূর্বাভাস দিবে। চলুন জে’নে নেয়া যাক সেই লক্ষণগুলো স’ম্পর্কে-
যে চাকরিতে উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে-সব চাকরিতে একরকম উপার্জনের সম্ভাবনা থাকে না। কোনো কোনো চাকরিতে কোনোভাবেই উচ্চ আয় সম্ভব নয়। আপনি যদি সেরকম কোনো চাকরিতে নিযুক্ত থাকেন, তাহলে পেশা বদল না করলে ভবিষ্যতেও আপনার প্রচুর আয়ের সম্ভাবনা কম।
তবে যদি এমন কোনো চাকরিতে নিযুক্ত থাকেন যেখানে উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, সেরকম একটি চাকরিতে নিচু পদে শুরু করলেও কালে কালে উচ্চ পদে আরোহণের সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চ পদের পাশাপাশি রয়েছে মোটা অংকের টাকা উপার্জনের সম্ভাবনা।
মোটা অংকের বেতন-আপনি যদি চাকরিজীবী হন, তাহলে বেতনই আপনার আয়ের প্রধান এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমাত্র উৎস। কাজেই আপনার বর্তমান বেতন আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক অবস্থার ভিত নি’র্মাণ করে দেবে। আপনি যদি বর্তমানে মোটা অংকের বেতন পান, তাহলে ভবিষ্যতেও যে আপনি উচ্চ আয় করবেন, এমনটা বলা যেতেই পারে।
ঠিকঠাক বিনিয়োগের সি’দ্ধান্ত-উচ্চবিত্ত হতে গেলে শুধু পেশাগত উপার্জন যথেষ্ট না-ও হতে পারে। সেক্ষেত্রে যথাযথ বিনিয়োগের মাধ্যমে অতিরি’ক্তি উপার্জনের পথ আপনাকেই প্রশস্ত ক’রতে হবে। কিন্তু বিনিয়োগের সময়ে আপনাকে অত্যন্ত বিবেচক ভূমিকা পা’লন ক’রতে হবে। ন্যূনতম বিনিয়োগে কীভাবে সর্বাধিক উপার্জন সম্ভব, তা বুঝে নিতে হবে।
দূ’রদর্শিতা-*আপনার আর্থিক চা’হিদা চিরকাল একরকম থাকবে না। আপনার ভবিষ্যতকে যদি আর্থিকভাবে সুনিশ্চিৎ ক’রতে চান, তাহলে এখন থেকেই নিজে’র ভবিষ্যতের আর্থিক চা’হিদা স’ম্পর্কে আপনাকে সত’র্ক থাকতে হবে। আর সেই অনুযায়ী আপনাকে প’রিকল্পনা ক’রতে হবে।
আগ্রাসী মনোভাব একধ’রনের আগ্রাসী মনোভাব জীবনের যেকোনো লক্ষ্য পূরণের জন্য জ’রুরি। আর্থিক লক্ষ্য পূরণও তার ব্য’তিক্রম নয়। কাজেই বিত্তশালী হতে চাইলে আপনাকে আগ্রাসী ও একাগ্র মনোভাব নিয়েই অগ্রসর হতে হবে।