নিজস্ব প্রতিবেদন:চিতাবাঘ একটি বন্য প্রাণী। বন্য প্রাণীদের মধ্যে চিতাবাঘ কে সবচেয়ে চালাক প্রাণী বলা হয়।চিতাবাঘ সবসময় বনে বসবাস করে। এরা বিভিন্ন প্রাণীর মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করে। পৃথিবীতে অনেক ধরনের চিতাবাঘ রয়েছে। যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে।বন্যা হলেও কিছু কিছু চিতাবাঘ চিড়িয়াখানায় বসবাস করে ।এবং মানুষের খুব কাছাকাছি থাকে। চিতাবাঘ তার চালাকি এবং চতুরতার জন্য বিখ্যাত।
আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গাতেই মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বনাঞ্চল এবং চিড়িয়াখানায় উভয় স্থানেই এদের উপস্থিতি দেখা যায়। চিড়িয়াখানায় বসবাস করা চিতাবাঘগুলো অধিক চালাক হয়ে থাকে। চিড়িয়াখানায় বসবাস করা চিতাবাঘগুলো যদিও বিভিন্ন মানুষের খাবার খেয়ে থাকে, বন্য চিতাবাঘগুলো কিন্তু বিভিন্ন মাংস ছাড়া অন্য কিছু খায় না।তবে কিছু মানুষ রয়েছে মাংসাশী।
তারা ফলমূলের পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে। যেমন পাখি, কাঠবিড়ালি, ছোট সাপ, মাছ ইত্যাদি। তবে এদের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ফলমূল।প্রায় সব ধরনের হয়ে থাকে। তবে মাংসাশী চিতাবাঘগুলোকে কেউ পোষ মানাতে চায় না। যেগুলো ফলমূল খেয়ে বেঁচে থাকে এগুলো কি মানুষ শখের বশে পালন করে থাকে।বর্তমানে মানুষ চিতাবাঘ কে পোষা প্রাণী হিসেবে পালন করে থাকে।
পোষা চিতাবাঘ গুলো দুরন্ত চালাক প্রকৃতির হয়ে থাকে।এরা মানুষের খুব কাছাকাছি থাকতে থাকতে মানুষের বিভিন্ন আচার আচরণ ও চালচলন নকল করে থাকে। পোষা চিতাবাঘগুলো দিয়ে অনেক সময় অনেক কাজ করানো যায়।অনেকে এগুলোকে পোষে বিভিন্ন কাজ করানোর জন্য আবার অনেকে এগুলোকে শখের বশে ও পালন করে থাকে।
এরা মানুষের খুব কাছাকাছি থেকে বিভিন্ন কায়দায় রং ঢং করে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে বিনোদন দিয়ে থাকে।আজকে আমরা এই ভিডিওতে দেখব একটি বানর কিভাবে তিনটি হায়েনাকে একাই দুমড়ে মুড়চে দিল। আমরা সকলে জানি বানর এত হিংস্র নয় অন্যান্য প্রাণীর তুলনায়। কিন্তু এ চিতাবাঘগুলো যখন হঠাৎ রেগে যায় তখন হিংস্র প্রাণীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনি একটি ভিডিও কয়েকদিন আগে ইন্টারনেটে তুমুলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।যেখানে দেখা গেছে তিনটে হায়েনা কুকুর চিতাবাঘ টি কে একা পেয়ে স্বীকার করার জন্য দলবদ্ধভাবে চলে আসে।কিন্তু তারা জানত না চিতাবাঘ এত হিংস্র হয়। জীবনের অপর তিনটি হেনা আক্রমণ করেছে উল্টো চিতাবাঘর একাই তাদের বিরুদ্ধে লড়ে গিয়েছে।আসলে বনের মধ্যে দেখা যায় অনেক সময় ছোট প্রাণী দের হাতেও বড় বড় হিংস্র প্রাণী দ্বারা শিকার হয়ে যায়।
বেঁচে থাকার জন্য যেমন মানুষের খাদ্য প্রয়োজন তেমনি হিংস্র পশু পাখিদের ও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য প্রয়োজন। সময়মতো তারা যদি স্বীকার না ধরতে পারে। তাহলে যেকোনো প্রাণীকে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। তবে চিতাবাঘ কোন পশু পাখিকে স্বীকার করে না।সে সাধারণত মাংস খেয়ে তার জীবন ধারণ করে।সে তেমন অন্য প্রাণীদের ওপর আক্রমণ করে না কিন্তু তাকে যখন অন্য প্রাণী আক্রমণ করে তাদেরকে ছাড় দেয়না।
আসলে বনের পশুপাখিরাও অনেক সময় সুযোগ খোঁজে যে তাদেরকে কিভাবে আক্রমণ করা যায় যখনই সুযোগ পেয়ে যায় ওই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে পশুপাখি স্বীকার করেনি। বানর কে একা পেয়ে হায়েনাগুলো মনে করেছিল সে যেহেতু একা থাকা সহজেই শিকার করা যাবে। কিন্তু তারা ভুল পথে পা বাড়ালো। এবং নিজের জীবনের মৃত্যু নিজে ডেকে আনল।