Breaking News

বাংলাতে নয়, ইংরেজিতে কথা বলে এই ময়না পাখিগুলো। অবিশ্বাস্য এই ভিডিও শোরগোল ফেলল নেটদুনিয়ায়! তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:সবচেয়ে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলে ‘কঙ্গো আফ্রিকান গ্রে প্যারট’ নামে পরিচিত একজাতীয় আফ্রিকান তোতাপাখি। কাকাতুয়া, ময়না, টিয়া এমনকি কাকও কথা বলতে পারে। আসলে এসব পাখি কথা বলে না, মানুষের কথার অনুকরণ বা নকল করে মাত্র। এরা শব্দের অর্থ বোঝে না। মানুষের স্বরতন্ত্রী বা স্বরযন্ত্রের মতো কোনো অঙ্গ পাখির নেই। ওরা আসলে গলা দিয়ে হুইসেলের শব্দ করে এবং সেই শব্দতরঙ্গ এমনভাবে ওঠায়-

নামায়, যা মানুষের কথার মতো শোনায়।নীলাদের বাসার বারান্দায় একটি ময়না পাখির খাঁচা ঝুলানো আছে। পাখিটা দেখতে বেশ সুন্দর। চোখ গুলো কি মায়াবী ভাবাই যায় না। বাজার থেকে পাখিটা কেনার সময় কি সুন্দর কথা বলছিল। কিন্তু বাসায় আনার পর থেকেই আর কথা বলছে না। কি জানি বাপু বদল করে দিয়েছে নাকি কে জানে। বাসার আশে পাশের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পাখি দেখতে এসেছে। সবাই এক নজরে পাখিটার দিকে তাকিয়ে আছে।

নীলার মা বললেন, ‘কিরে পাখির দিকে এক নজরে তাকিয়ে কি দেখছিস তোরা?’ নজর লেগে যাবে তো। এ কথা শুনে সবাই নিজ নিজ বাসায় চলে গেল।নীলার শখ সে পাখির সাথে কথা বলবে। তাই তার বাবা তাকে একটা কথা বলা ময়না পাখি এনে দিয়েছে। নীলা যথারীতি তার ময়না পাখিকে খাবার দেয়, গোসল করিয়ে দেয় আরো কত কি। অনেক আশা নিয়ে সারাক্ষণ বসে থাকে কখন তার ময়না পাখি তার সাথে কথা বলবে।

অনেক দিন কেটে যায় তবুও তার ময়না পাখি কথা বলেনা। নীলা স্কুলে যাবার সময় প্রতিদিন ময়নার খাঁচায় অনেক খাবার দিয়ে যায়। যাতে দেরি করে ফিরলেও তার পাখিটা ঠিক মত খাবার খেতে পারে। ময়না পাখি কে নানা রকম খাবার দেয়া হয় যেমন, দুধ, বিস্কুট, রুটি, কলা ইত্যাদি। ময়না পাখিটার যত্নের কোন ত্রুতি রাখেনি। তবুও কেন যে কথা বলেনা তার কারণ খুঁজে পায়না। পাশের বাসার নিশির টিয়া পাখিটা কি সুন্দর কথা বলে।

এই দেখে গা জ্বলে যায় নীলার। সে চায় নিশির টিয়া পাখি যেমন করে কথা বলে তার থেকেও যেন অনেক মিষ্টি করে তার ময়না পাখি কথা বলে। কিন্তু সেটা হয়ে উঠছে না।বেশ কিছু মাস আগের কথা। নীলার বাবা একটা টিয়া পাখি এনে দিয়েছিল। সেই টিয়া পাখিকে অনেক আদর করে নাম দিয়েছিল আদুরি। আদুরি নাম টা মনে হয় টিয়া পাখিটির খুব পছন্দ হয়েছিল।

তাই যখনই তাকে আদুরি বলে ডাকা হত তখনই সে নাচ করত। টিয়া পাখিটি ভাল করে কথা বলতে পারত না। তবে একটি নাম উচ্চারণ করতে তার কোন কষ্টই হত না। সেটা হচ্ছে হৃদয়। হৃদয় হচ্ছে টিয়া পাখির পূর্বের মালিক। নীলা অনেক চেষ্টা করেও তার পাখিটার মুখ থেকে হৃদয় নাম টা দূর করতে পারছিল না। নীলা চাচ্ছিল টিয়া পাখি যেন তার নাম বলে।

কিন্তু টিয়া পাখি হৃদয়ের নাম নিয়েই পড়ে থাকত।প্রতিদিন সকালে টিয়া পাখি কে কথা শেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। নীলা নিজে তার সাথে কথা বলতো এবং কথা বলা শেখাতো কিন্তু টিয়া পাখি কথা বলতো না শুধু শুনেই যেত। এভাবেই যাচ্ছিল দিন হঠাৎ একদিন সকালে উঠে খাঁচার দিকে তাকিয়ে দেখে টিয়া পাখি নেই। আশে পাশের বাসায় খোঁজ করা হলো কিন্তু কোথাও পাওয়া গেল না।

একদিন কেটে গেল কিন্তু পাখি আর ফিরে এলোনা। নীলা তার শখের টিয়া পাখি কে হারিয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছিল। টিয়া কে হারিয়ে ঠিক মত লেখা পড়া হচ্ছিল না। স্কুলেও যাচ্ছিল না। খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করছিল না। সব মিলিয়ে কেমন যেন পাগলের মত হয়ে গেছিল। তাই তার বাবা তাকে শান্তনা দিয়ে বলেছিল তাকে কথা বলা ময়না পাখি এনে দেবে।

কথা বলা ময়না পাখি এনে দেবার কথা শুনে মন টা কিছুটা হালকা হয়েছিল নীলার।বাবা কথা রেখেছিলেন, ময়না পাখি এনে দিয়েছেন তবে ময়না পাখি কথা বলছে না। নীলা তার ময়না পাখি কে খুব সাবধানে রাখে যাতে আগের টিয়ার মত পালিয়ে যেতে না পারে। রাতে ঘুমানোর সময় তার শখের ময়না পাখি কে তার বিছানার কাছেই রাখে।

নীলা একা একা বসে ভাবে কে বা কারা কোথা থেকে এই ময়না পাখি কে ধরে নিয়ে এসেছে কে জানে। হয়ত পাখিটার মা বাবা খুব কান্না করছে আর তার সন্তান কে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাই সে ঠিক করেছে তার ময়না পাখি যেদিন তার নাম বলবে, সেদিন তাকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে দেবে। প্রতিদিন ময়না পাখি কে কত রকমের গল্প শোনায়। গান, কবিতা আরো কত কি শোনায় তবুও সে কথা বলেনা। শুধু শুনেই যা।

Check Also

বাড়িতে পড়ে থাকা বোতল দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন ব্রাশদানি। এ পদ্ধতিতে সহজেই বানিয়ে ফেলুন। রইল ভিডিওসহ A-Z স্টেপ বাই স্টেপ

নিজস্ব প্রতিবেদন:পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা তো রয়েছেই, সঙ্গে ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় বর্তমানে প্লাস্টিকের টুথব্রাশের …