Breaking News

বিদেশী জাতের এই ময়ূর পালন করে, রাতারাতি লাখপতি হয়ে গেলেন সুন্দরী যুবতী। রইল ভিডিও সহ ময়ূর পালনের যাবতীয় গোপন টিপস।

নিজস্ব প্রতিবেদন:প্রাচীনকাল থেকেই সুস্বাদু মাংস হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে পাখির মাংস। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক যুগের মানুষ মুরগি, হাঁস, কবুতর, কোয়েল, টার্কি প্রভৃতি পাখি গৃহে পালন করছে। এসব পাখি যেমন মাংসের চাহিদা মেটাচ্ছে, তেমনি অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভবান হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।অতীতে উল্লিখিত পাখির পাশাপাশি ময়ূরও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল। এর মাংসও খেতে খুব সুস্বাদু।

কিন্তু পোষ মানানো পাখিদের ভিড়ে ময়ূরের দেখা মেলে না। অথচ ময়ূরের ব্যাপারে আলোচনা করতে গেলে বলা যায় পৃথিবীর প্রায় সব সভ্যতার ইতিহাসে ময়ূরের নিদর্শন রয়েছে। পক্ষীকুলের মধ্যে খুব মধুর সুরে ডাক দিতে পারে এই ময়ূর।এ যুগে ময়ূরের ডিম ও মাংস সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে গ্রহণ না হলেও এটি পোলট্রি হিসেবে বিবেচিত। পোলট্রি বলতে সাধারণত মানুষের আয়ত্তে থেকে যেসব পাখি ডিম, বাচ্চা উৎপাদন,

মাংস ও অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে সেগুলোকেই বলা হয়।ময়ূর তার পেখমের জন্য জনপ্রিয় হলেও পোষ্য হিসেবে বর্তমানে এর জায়গা চিড়িয়াখানায়। এই মূল্যবান পাখিটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে এটি পালন করে বেকার যুবকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। অনেকে লেয়ার, ব্রয়লার, হাঁস, মুরগি প্রভৃতির খামার করে লাভবান হচ্ছেন। একই সঙ্গে ময়ূরের খামার দিয়ে বা বাড়িতে পোষ মানিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।

তাছাড়া প্রকৃতির সুন্দরতম পাখিটিকে রক্ষা করার দায়িত্ববোধও রয়েছে। ময়ূরের পালক দিয়ে তৈরি করা হয় মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ, বিভিন্ন অলংকার, টেবিলম্যাট, ওয়ালম্যাট, নকশা-জাতীয় হাতপাখাসহ নানা ধরনের শোপিস। এর ঝলমলে পালক দিয়ে মাছ ধরার বড়শির সামগ্রীও তৈরি করা হয়। ময়ূরের পালকের তৈরি গাউন অনেক উন্নত দেশে বিশেষভাবে পরিচিত। এই গাউনের সঙ্গে পালকের তৈরি বিভিন্ন গয়নাও পরা হয়।

ময়ূরের পায়ের চামড়া দিয়ে তৈরি হয় ঘড়ির বেল্ট, মানিব্যাগ, চাবির তোড়া প্রভৃতি।ময়ূরের মাংস স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু। তবে এটি সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণাই নেই। অনভিজ্ঞতার কারণে এদের মাংস বাজারে বিক্রি করা হয় না। সুস্বাদু হওয়ায় অনেকের কাছে এর মাংসের চাহিদা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এর মাংস অধিক মূল্যে বিক্রি করে অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।সঠিক নিয়মে পালনবাংলাদেশের আবহাওয়া ময়ূর লালন-

পালনের উপযোগী। প্রকৃতপক্ষে এই অপূর্ব পাখিটি গ্রাম ও শহরাঞ্চলে সব শ্রেণির মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে পালন করতে পারে। ময়ূরের নানা রকম ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। তাই শখের বশেও বাড়িতে পালন করতে পারেন যে কেউ।বাণিজ্যিকভাবে ময়ূর পালন করতে চাইলে এটি সম্পর্কে অল্প-বিস্তর ধারণা থাকলেই সফল হওয়া সম্ভব। পাখিটি সাধারণত দলবদ্ধভাবে বিচরণ করতে পছন্দ করে। পাঁচ থেকে ছয়টি ময়ূরীর সঙ্গে থাকে একটি ময়ূর।

প্রথম ক্ষেত্রে একজোড়া ময়ূর নিয়েই কাজ শুরু করতে পারেন। এর ডানা সাধারণত চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা হয়ে থাকে এবং অধিকাংশ সময় এরা পেখম মেলে গাছের মগডালে উঠে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে এদের খামার যেন উঁচু হয়; যেন এরা অনায়াসে গাছের মগডালে উঠতে পারে। সাধারণতএদের প্রিয় খাবার শস্যদানা, ছোট সাপ-গিরগিটি, কীটপতঙ্গ, ব্যাঙ, ঘাস, লতাপাতা, ফলমূল প্রভৃতি। তাই জঙ্গলময় স্থান দেখেই এদের খামার তৈরি করা উচিত।

অবশ্য স্থান খুব সংকীর্ণ হলে এদের নিয়মিত গম, ধান, বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল, বীজ প্রভৃতি খাওয়ানো যেতে পারে। পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে, এরা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে। মাটিতে সামান্য গর্ত করে তিন থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে ময়ূর। ডিমগুলো ধূসর বর্ণের হয়। এদের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ২৭ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। এদের গড় আয়ু প্রায় ৩৫ বছর।

বাচ্চাদের চার থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট উষ্ণতার মধ্যে রাখতে হবে। ময়ূরের যৌবনপ্রাপ্তি ঘটে সাধারণত তিন থেকে চার বছরে। একজোড়া ময়ূর থেকে বছরে চার-পাঁচজোড়া ময়ূর পাওয়া যায়। তিন মাস পরপর তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। রোগবালাই ও চিকিৎসা ময়ূর

পালনের ক্ষেত্রে এর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। ময়ূর যেন সুস্থ থাকে সে বিষয়ে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে। বেশিরভাগ ময়ূরের শরীর উকুন বাসা বাঁধে, তাই পালনের শুরুতে উকুনমুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে নিয়মিত রানীক্ষেত ডিসিজ ভ্যাকসিন দিতে হবে। ময়ূরের কয়েকটি রোগের বর্ণনা ও এ থেকে পরিত্রাণের উপায় জানানো হলো।

Check Also

এক মাছের পেট থেকে আট কেজি ডিম বের হলো, ভিডিও তুমুল ভাইরাল

মাছের ডিম দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন রন্ধনশৈলীতে নানা ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। সমুদ্রজাত মাছের ডিম। …